বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে সেনা উপস্থিতি আরো বাড়িয়েছে মিয়ানমার। বৃহস্পতিবারের পর আজ শুক্রবার শূন্যরেখার পাশে আরো অন্তত ৩০০ নতুন সেনাকে টহল দিতে দেখা গেছে।
সীমান্তে সেনা উপস্থিতির ফলে সৃষ্ট উত্তেজনায় বেলা ৩টার দিকে তুমব্রুর মৈত্রী সেতুতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে পতাকা বৈঠক হবে। সকালে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল আবদুল খালেক সাংবাদিকদের বৈঠকের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও লরিতে করে মহড়া দেন মিয়ানমারের সেনাসদস্যরা। আর মাইকিং করে রোহিঙ্গাদের শূন্যরেখা থেকে চলে যেতে বলা হয়। শূন্যরেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গারা যাতে আশ্রয়শিবির থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, এ জন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। এতে শূন্যরেখায় অবস্থান করা কয়েক হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে বিজিবির সদর দফতরে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুর রহমান বলেন, ভারী অস্ত্র, গোলাবারুদ নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে সেনা সমাবেশ করেছে মিয়ানমার। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে শক্ত ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
